শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় ইটভাটায় শ্রমিক ছাউনিতে কয়লার ট্রাক উল্টে নিহত ১৩ শ্রমিকের সবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়।
এ সংবাদ প্রকাশের পর শোকের ছায়ায় ঢেকে গেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা।
সেসব শ্রমিকদের বাড়িতে এখন চলছে কান্না আর আহাজরি।
জানা গেছে, এসব শ্রমিকরা প্রত্যেকেই ছিলেন তাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী।
ইতিমধ্যে জলঢাকার দুই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানরা নিহতদের পরিচয় ও নামের তালিকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), সংকর চন্দ্র রায় (২২), দিপু চন্দ্র রায় (১৯) ও অমিত চন্দ্র রায় (২০), পাঠানপাড়া গ্রামের মো. মোরসালিন (১৮), মো. মাসুম (১৮), মো. সেলিম (২৮) ও রামপ্রসাদের ছেলে বিল্লব (১৯), শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন রায় (১৯) ও মিনাল চন্দ্র রায় (২১) এবং রাজবাড়ি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮) ও কনক চন্দ্র রায় (৩৪)।
নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে বাড়িতে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ছুটে এসে তাদের সান্তনা জানাচ্ছেন।
নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিণ শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন,
নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। জানা গেছে, নিহত ১৩ শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা ও ইট ভাটার মালিকের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা এসেছে।
প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকায় কাজী অ্যান্ড কোং নামক ইট ভাটায় ট্রাক থেকে কয়লা আনলোড করার সময় হঠাৎ তা উল্টে গিয়ে ভাটার লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর পড়ে।
এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় মারাত্মক আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।